★ অণেকের মনে প্রশ্ন রাসুল (সঃ) কি শারিরীক ভাবে মারি তৈরী না নূরের?
অনেকে বলে নুরে তৈরী এটা বিশ্বাস না করলে ঈমান থাকবেনা। আমাকে এক জন কিছু দিন আগে বলেছিলেন ক্যামেরা যদি তখন থাকত তবে রাসুল (সঃ) এর ছবি ক্যামেরায় উঠতনা।
আমার প্রশ্ন ঃ তা হলে ত তিনি মানুষ না অন্য কোন জাতি।তবে কোন জাতি? কোন নূর ফেরেস্তা না জ্বীনের?
তারা বলে আল্লাহর নুরের (জাতি নুরের)।
আমার প্রশ্ন তা হলে সে তো আল্লাহ (শিরক)? (নাউজুবিল্লাহ)
তখন বলে না ঠিক আল্লাহর নুরের না ফেরেস্তার।
আমার প্রশ্ন তা হলে তো তার মূল্য মানুষের থেকে কম, কারন মানুষ হল সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতি!
তখন বলে না তিনি নুরের তৈরী মানুষ।
তাহলে আমার প্রশ্ন তবে তো নুরের জাতি যখন তখন অদৃশ্য হয়ে জেতে পারতেন তাকে কাফিরদের হাতে এইরকম নির্জাতন সহ্য করতে হতনা, তাকে হিজ্রত করতে হতনা, তার লাশ দাফন করতে হতনা। মুহুর্তেই প্রিথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যেতে পারতেন উট ঘোড়া লাগতনা?
তা ছাড়া এমন এটি আয়াত অথবা সহী হাদিস দেখান যে রাসূল (সঃ) শারিরীক ভাবে নুরের তৈরী।
******** আল্লাহ বলেন, ﻗَﺪْ ﺟَﺎﺀَﻛُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻧُﻮْﺭٌ ﻭَﻛِﺘَﺎﺏٌ ﻣُﺒِﻴْﻦٌ ‘নিশ্চয় তোমাদের নিকটে আল্লাহর পক্ষ থেকে নূর এসেছে এবং তা স্পষ্ট কিতাব’ (মায়েদাহ ১৫)।
জবাব; ******* উক্ত আয়াতে বর্ণিত ‘নূর’ দ্বারা হেদায়াতের নূর উদ্দেশ্য। অর্থাৎ কিতাব।
যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ﻭَﺍﺗَّﺒَﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻨُّﻮْﺭَ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﻣَﻌَﻪُ ‘মুমিনরা ঐ নূরের অনুসরণ করে, যা মুহাম্মাদের সাথে নাযিল হয়েছে’ (আ‘রাফ ১৫৭)।
এছাড়া অন্য আয়াতে আরো স্পষ্ট করে আল্লাহ বলেন, ﻓَﺂﻣِﻨُﻮْﺍ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟِﻪِ ﻭَﺍﻟﻨُّﻮْﺭِ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎ ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং ঐ নূরের প্রতি ঈমান পোষণ কর, যা আমরা নাযিল করেছি’ (তাগাবুন ৮)।
অতএব উক্ত নূর দ্বারা কিতাবকেই বুঝানো হয়েছে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) মাটির তৈরী । অন্যান্য আদম সন্তানের ন্যায় মুহাম্মাদ (ছাঃ)ও একজন মাটির তৈরি মানুষ। এটাই সঠিক আক্বীদা এবং সালফে ছালেহীন ছাহাবায়ে কেরামের আক্বীদা।
আল্লাহ বলেন, ﻗُﻞْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﺑَﺸَﺮٌ ﻣِّﺜْﻠُﻜُﻢْ ﻳُﻮْﺣَﻰ ﺇِﻟَﻲَّ ﺃَﻧَّﻤَﺎ ﺇِﻟَﻬُﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻪٌ ﻭَﺍﺣِﺪٌ ﻓَﻤَﻦ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺮْﺟُﻮ ﻟِﻘَﺎﺀ ﺭَﺑِّﻪِ ﻓَﻠْﻴَﻌْﻤَﻞْ ﻋَﻤَﻼً ﺻَﺎﻟِﺤﺎً ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺸْﺮِﻙْ ﺑِﻌِﺒَﺎﺩَﺓِ ﺭَﺑِّﻪِ ﺃَﺣَﺪﺍً . ‘বলুন, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি অহি করা হয় যে, তোমাদের মা‘বূদ একজন। সুতরাং যে তাঁর প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তাঁর প্রতিপালকের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’ ( সুরা কাহফ ১১০)।
উক্ত আয়াত ছাড়াও আরো আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল (ছাঃ) একজন মানুষ (বানী ইসরাঈল ৯৩; হা-মীম সিজদা ৬)।
তাহলে মানুষ কিসের তৈরি? আমরা আল্লাহর ভাষায় দেখি- ﻭَﻣِﻦْ ﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﺃَﻥْ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢْ ﻣِﻦْ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﻧْﺘُﻢْ ﺑَﺸَﺮٌ ﺗَﻨْﺘَﺸِﺮُﻭْﻥَ ‘আর তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে হচ্ছে- তিনি তোমাদেরকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমরা মানুষ হিসাবে ছড়িয়ে গেছ’ ( সুরা রূম২০)।
হাদীছেও বহু স্থানে বলা হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) মাটির তৈরি। রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আলিমুল গায়েব
বিশ্বাসকারী মুসলমান থাকে কি ?
প্রশ্ন ১ :
রেযাখানী ‘ সুন্নীদের ’আক্বীদা হচ্ছে যে,
★‘ রাসূলুল্লাহ (সঃ ) গায়েব
জানেন’ । এই আক্বিদা পোষণকারী ঈমান
কি বহাল থাকবে ?
প্রশ্ন ২ : উপরোক্ত আক্বীদা পোষণকারীর ঈমান যদি নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকে , তবে এমন আক্বীদা পোষণকারীর ইমামতিতে নামায কি জায়েয হবে ? জাযাকাল্লাহ।
উত্তরঃ
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ
ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূল সাঃ কে অনেক গায়েবের সংবাদ জানিয়েছেন। যেমন জান্নাত - জাহান্নামের হালাত , হাশরের অবস্থা, কিয়ামতের অবস্থা। কিন্তু
আমভাবে স্ব - ইচ্ছায়, সর্বহালাতে সর্ববিষয়ের সর্বস্থানের সকল অদৃশ্যের
সংবাদ রাসূল সাঃ আল্লাহ তাআলার মতই জানেন বিশ্বাস করা কুফরী। যে ব্যক্তি
পরিপূর্ণভাবে রাসূল সাঃ গায়েবের সংবাদ জানেন বলে বিশ্বাস করে উক্ত ব্যক্তি কুফুরী আকীদার ভিতর আছে। কুরআনের
স্পষ্ট বিধানের লঙ্ঘণ এবং আল্লাহ তাআলার সাথে শরীক করার কারণে।
এমন ব্যক্তির পিছনে নামায আদায় করা জায়েজ নয়।
ﻗُﻞْ ﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﻋِﻨْﺪِﻱ
ﺧَﺰَﺍﺋِﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ
ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﺇِﻧِّﻲ ﻣَﻠَﻚٌ ﺇِﻥْ
ﺃَﺗَّﺒِﻊُ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ ﻳُﻮﺣَﻰ ﺇِﻟَﻲَّ ﻗُﻞْ
ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﻰ ﻭَﺍﻟْﺒَﺼِﻴﺮُ
ﺃَﻓَﻠَﺎ ﺗَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ ( 50
আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে।
তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা।
আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি , যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিন অন্ধ আর চক্ষুমান কি সমান হতে পারে?
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হক বুঝার ও আমল করার তাওফিক্ব দান করুন, আমীন।