★  উপরের লেখাটা পড়ে,, অনেকের রক্ত
গরম হয়ে যেতে পারে,,,
তাদের বলব,, দয়া করে পুরো স্ট্যাটাস
টি পড়ুন,,,
***চরমোনাই পীর সাহেব,,, তাদের
ওয়াজে প্রতিনিয়তই বলে থাকে,,,
"বাবারা.... বাবার লিখিত ২৭খানা
কিতাবের তালিম করুন, সে অনুযায়ী
আমল করুন".
এবার দেখুন,,,, তার বাবাজানের
লিখিত ২৭ খানায় কি,, আছে,,,,
যার অধিকাংশ শির্কি-কুফরী তে
পরিপুর্ন।।
আমি, তার কয়েকটা নিচে তুলে ধরলাম।।।
(১) চরমোনাই পীর সৈয়দ মোহাম্মাদ
এছহাক তার বই 'আশেক মাশুক বা এস্কে
এলাহী', পৃষ্ঠা নঃ ৯১ (প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭) এ লিখেছেন -
[ "আমিতো এখন আমাকেই চিনি না,
আমি যে কে তাহাই আমি জানি
না,
আমি কি, মুসলমান, না ইহুদী, না
অগ্নিপুজক তাহাও বলিতে পারি
না"]
(২) "কামেল পীরের আদেশ
পাইলে নাপাক শারাব (মদ) দ্বারাও
জায়নামাজ রঙ্গিন করিয়া
তাহাতে নামাজ পড়। অর্থাৎ
শরীয়তের কামেল পীর সাহেব যদি
এমন কোন হুকুম দেন,
যাহা প্রকাশ্যে শরীয়তের খেলাফ
হয়,
তবুও তুমি তাহা নিরাপত্তিতে
আদায়
করবে। ( আশেক মাশুক,পীর সৈয়দ
মোহাম্মদ এছহাক রচিত,পৃষ্ঠা নং ৩৫)"
(৩) "ওগো আমার মাশুক মাওলা! আপনি
আপনার কুদরতি নজরে আমার দিকে
চাহিয়া দেখুন,আমি এখন আমি
নাই,আমি আপনি হইয়াছি,আর আপনি
আমি হইয়াছেন; আমি হইয়াছি তন,
আপনি হয়াছেন জান॥
( সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর
রচনাবলী; আশেক মাশুক, পৃষ্ঠা নঃ ৪১,
ফেব্রুয়ারি ২০০৭॥)"
(৪) "কাহারো স্ত্রী যদি খুব সুন্দরী হয়,
আর সে যদি খোজা বা ধ্বজভঙ্গ
হয়,তবে কিছুতেই সে ঐ বিবির সঙ্গে
মিলিতে পারিবে না। ঠিক এইরুপ
মনে করিবেন- যাহার রুহ খোজা বা
মরা,অর্থাৎ- মাবুদের প্রেম হইতে
বঞ্চিত,তাহার রুহ কিছুতেই মাবুদের
সাথে মিলিতে পারিবে
না" (সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর
রচনাবলী; ভেদে মারেফত,পৃষ্ঠা নঃ
৬৭ প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭)"
"নিজের স্ত্রীর সঙ্গে মিলিবার সময়
যদি উত্তেজনার সৃষ্টি হইতে পারে,
তবে মাবুদের সঙ্গে রুহ মিলিতে
কেন
উত্তেজনার সৃষ্টি হইবে না?
( বই,ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৯)"
স্বামী-স্ত্রীর মিলন কে বলা হয়,
সঙ্গম বা সহবাস॥ পীর সাহেব
বলেছেন, স্ত্রী যদি খোজা হয়
তাহলে স্বামী তার সাথে
মিলিতে পারিবে না বা সঙ্গম,
সহবাস
করতে পারবে না॥ ঠিক তেমনি যেই
মানুষের রুহ খোজা সে আল্লাহর
সাথে মিলিতে পারিবে না
অর্থাৎ, সঙ্গম
করতে পারিবে না বা সহবাস করতে
পারিবে না॥ কিন্তু যদি রুহ খোজা
না হয় বরং পীর সাহেবের মত রুহ হয়
তাহলে সে আল্লাহর সাথে
মিলিতে পারিবে বা সঙ্গম বা
সহবাস করিতে পারিবে
(নাউযুবিল্লাহ)।
এতো বড় বেয়াদবী মহান আল্লাহ
তায়ালার সাথে! তাহলে কি, সে
মুসলিম না কাফির?
(৫) ওগো আমাদের মাশুক!
আপনি যদি মেহেরবানীপূর্বক আমার
অন্তরে স্থান লইতেন,তবে আমি
আপনাকে সমরখন্দ ও বোখারা উভয়
রাজ্য দান করিতাম। [আশেক মাশুক
পৃষ্ঠা নঃ ১৫]
(৬) হে আমার মাশুক! আপনার মাথার
চুলগুলি কাকই (চিরুনি) দ্বারা না
আঁচড়াইয়া এলোমেলো রাখিয়া
আমাকে মুসিবতে ফেলিবেন
না। আমার পাগল মনটি শিকল দ্বারা
বাধিয়া রাখার শক্তি আমার নাই।
অতএব আপনি আমাকে সব সময় সুসজ্জিত
বেশে দেখা দিবেন। তখন আমার
পাগল মনটি শান্ত থাকিবে। [আশেক
মাশুক - পৃষ্ঠা নঃ ৫১]
***চিন্তা, এগুলো কিভাবে একজন মুসলিম গ্রহন করে???
আর, যদি গ্রহন করে, তাহলে সে কি আর মুসলিম থাকে???
আর, পীর-মুরিদির এই তরীকা হল, জাহেলিয়াত,
ইসলাম এ এর কোন স্থান নেই।
***আমার লেখায় , কোন ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন, নতুবা,,, এই পীর-মুরিদির জাহেলিয়াত থেকে দুরে থাকুন ***